Monday 19 March 2018

বগুড়া উত্তর বঙ্গের প্রাণ কেন্দ্র পুন্ড্র নগর মহাস্থানগড়


 পুন্ড্র নগরঃ বগুড়া উত্তর বঙ্গের প্রাণ কেন্দ্র

হিসাবে বিবেচিত হয় এবং এই শহর বাংলাদেশের
প্রাচীন শহরগুলোর একটি।
মহাস্থান গড় (বাংলাদেশের প্রাচীন শহর)ঃ
মহাস্থানগড় প্রাচীন পুন্ড্রনগরী এর বর্তমান নাম।
মহাস্থানগড় বগুড়া জিলার শিবগঞ্জ থানার অন্তর্গত। এই
খানে ৪ হাজার বছরের পুরানো স্থাপনা আছে।
শক্তিশালী মাউর্যা, গুপ্ত এবং অন্যান্য রাজারা তাদের
প্রাদেশিক রাজধানী হিসাবে মহাস্থানগড় ব্যবহার
করতেন।পাল রাজাদের মূল রাজধানী হিসাবে
পুন্ড্রনগর ব্যবহৃত হয়েছে।এই বিশাল শহরের
ধংসস্তুপ করতোয়া নদীর পশ্চিমপ্রান্তে অবস্থিত
যা সুধু বগুড়া নয় বরং গোটা বাংলাদেশের অতীত
ঐতিহ্য ধারন করে।


১৮০৮ খ্রিস্টাব্দে “বুচানন হামিল্টন” প্রথম
পুন্ড্রনগরের ধংসাবসেস আবিস্কার করেন।
পরবর্তিতে ডন্নেল, কন্নিংহাম এই নগরী
সম্পর্কে বলেন। প্রাচীন পুন্ড্রনগরীকে
মুসলিম শাসনামলের সম্পুর্ন স্বাধীন মুসলিমনগর
মহাস্থানগড়কে চিহ্নিত করেন স্যার কনিংহাম।
মাউর্যা,গুপ্ত,পাল এবং সেন বংশের প্রচুর চিহ্ন পুন্ড্র
তথা পুন্ড্রনগর এ আছে।কিন্তু আর্যান এর ভ্রমন এর
আগ পর্যন্ত এ গুলো অজানা ছিল। বরেন্দ্র অঞ্চল
(বগুড়া,রংপুর,দিনাজপুর,রাজশাহী,মালদাহ)ছিল পুন্ড্রদের
আসল বাসস্থান।
১৯৩১ সালে মহাস্থানকে প্রাচীন পুন্ড্রনগরী
হিসাবে চিহ্নিত করা হয়।গুপ্ত রাজাদের পতন এর পর
রাজা শশাংক একটি শক্তিশালী রাজ্য পত্তন করেন।
শশাংকের মৃত্যুর পর বিখ্যাত চীনা ভ্রমনকারী ওয়ান
চুন ৬৯৩ সালে বৌদ্ধ স্থাপনা ভ্রমন এর জন্যে
পুন্ড্রনগর এ আসেন। তিনি সম্রাট অশক এর তৈরী
অনেক বৌদ্ধ মন্দির এবং আশ্রম দেখেন। তার বর্ননা
মতে, পুন্ড্র নগরী ছিল একটি সমৃদ্ধ নগরী এবং
এর আয়তন ছিল ছয় মাইল এর মত। এই জনপথ ছিল
অনেকটা এথেন্স,ব্যবলিওন,মিশর এর মত।
পুন্ড্রনগরী মহাস্থানগড় হয়ে ওঠে বাংলাদেশের
সমৃদ্ধশালী মুসলিম শাসনামলে।মহাস্থান এর আকর্ষণ
এর টিলার অপরে অবস্থিত মাজার।প্রতিদিন হাজার হাজার
মানুষ অনেক দূর থেকে এই স্থান ভ্রমন করতে
আসে। অনেক মানুষ তাদের “মানত” পূরণ
এর জন্যে এইখানে সমাগম করেন। এই জায়গা
মুসলমান,হিন্দু উভয় এর জন্যেই পবিত্রস্থান হিসাবে
বিবেচিত হয়।

No comments:

Post a Comment