Monday 19 March 2018

পাহাড় পর্বত, ঝর্না, সমুদ্র সৈকত, ঝর্না, ট্রেইল, ইকো পার্ক সবি আছে।

"দুর্গম গিরি কান্তার মরু
দুস্তর পারাবার হে!
লঙ্ঘিতে হবে রাত্রি নিশীথে,
যাত্রীরা হুশিয়ার"
বাংলাদেশের অনেক সৌন্দর্যের আবাস চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলা। সৌন্দর্যময় এই উপজেলায় প্রকৃতির সব কিছুই আছে।
কি নেই তাতে??
পাহাড় পর্বত,
ঝর্না,
সমুদ্র সৈকত,
ঝর্না,
ট্রেইল,
ইকো পার্ক।



সবি আছে।
প্রকৃতির সৌন্দর্যের পসরা নিয়ে নিখুঁতভাবে এর বিস্তার।
একটুকরো সীতাকুন্ডের এবারের ভ্রমন সোনাইছড়ি ট্রেইল। সীতাকুন্ডের ট্রেইল গুলোর মধ্যে একে বলা হয় ডেথজোন। বর্ষাকালে এর ভয়াবহতা দেখা যায় চরমভাবে।
পাথুরে এই ট্রেইলে বড় বড় পাথরের ঢল, পাহাড়ি সৌন্দর্য আসলেই মনোমুগ্ধকর। মন হারিয়ে যায় এক অজানা রাজ্যে। পাথুরে মনে তখন বেঝে উঠেঃ
"ঝরনা তাহার সহজ গানে
গান জাগালো আমার প্রানে,
আপন কাজে কঠোর হতে
পাষাণ দিলো দিক্ষা"
সোনাইছড়ি ট্রেইল শেষে খাওয়া ধাওয়া করে কর চলে যাই গুলিয়াখালি সি বিচে। শান্ত পরিবেশ সারাদিনের ধকল কে নিমেষেই ম্লান করে দেয়।
কেউ চাইলে চন্দ্রনাথ পাহাড় টাও কভার করতে পারেন একি দিনে। যদি ওও আমাদের কাছে বিচে বসে সময় উপভোগ করাটাই ভালো লেগেছে।
যেভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে মেইল ট্রেইন সীতাকুন্ড > সীতাকুন্ড বাজার থেকে হাদী ফকিরহাট বাসে > সোনাইছড়ি ট্রেইল > হাদি ফকিরহাট > সীতাকুন্ড বাজার লেগুনা > মুরাদপুর সি বিচ বা গুলিয়াখালি সি বিচ ট্যাক্সি > সীতাকুন্ড বাজার ট্যাক্সি > ফেনী বাস > ঢাকা বাস
ভরপেট দুপুরের খাবার, সকালের নাস্তা, সন্ধ্যার মুড়ি ভর্তা + ভরপেট লুচি ডাল, যাতায়াত খরচ, গাইড খরচ সহ আমাদের সাত জনের পার হেড ৬৪০ টাকা খরচ হয়েছে।
খরচাপাতিঃ
#ঢাকা থেকে সীতাকুন্ড মেইল ট্রেইন ভাড়া ১০০ টাকা
#সকালের নাস্তার খরচ
#সীতাকুণ্ড বাজার থেকে হাদীফকিরহাট বাস/লেগুনা ভাড়া ১৫-২০ টাকা
#গাইড খরচ ৪০০ টাকা
#দুপুরের খাবারের খরচ ১০০ টাকা
#হাদীফকিরহাট থেকে সীতাকুন্ড বাজার বাস/লেগুনা ভাড়া ১৫-২০ টাকা
#সীতাকুন্ড বাজার থেকে গুলিয়াখালি সি বিচ জন প্রতি ৩০ টাকা
#গুলিয়াখালি থেকে সীতাকুন্ড বাজার জন প্রতি ৩০ টাকা
#সন্ধ্যার নাস্তার খরচ
#সীতাকুন্ড বাজার থেকে ফেনী বাসে ৫০ টাকা
#ফেনী থেকে ঢাকা ২৭০ টাকা
#যেখানে সেখানে ময়লা ফেলে প্রকৃতির সৌন্দর্যকে ম্লান করবেন না। এ কাজ থেকে বিরত থাকুন 

1 comment:

  1. সোনাইছড়ি এখনো অনেক বুনো একটা ট্রেইল, যদিও প্রতি প্রতি বছর আরো বেশি বেশি মানুষ গিয়ে এর আদিমতাকে আরো নষ্ট করে দিচ্ছে। সোনাইছড়ি দিয়ে হেটে হেটে কিন্তু ফটিকছড়ি দিয়েও বের হওয়া যায়।

    ReplyDelete