Sunday 18 March 2018

ইলিশের বাড়ি চাদপুর

গত শুক্রবার আমরা ছয় জন মিলে ঘুরে আসলাম ইলিশের বাড়ি চাদপুর। একদিনের ট্যুর হিসেবে চাঁদপুর আদর্শ জায়গা।
কিভাবে যাবেন
ঢাকা সদরঘাট থেকে সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত লঞ্চ ছেড়ে যায় চাদপুরের দিকে। লঞ্চের ভাড়া ১০০ থেকে ৫০০ টাকা এর মধ্যে। যদি একদিনের ট্যুরে যান তবে ওখানে গিয়েই ফিরতি লঞ্চ এর খোজ জেনে রাখতে পারেন। লাস্ট লঞ্চ সম্ভবত সন্ধ্যা ৭ টায় ঢাকার দিকে ছেড়ে আসে। যেতে বা আসতে সময় লাগবে ৩ ঘণ্টা ৩০ মিনিটের মত। সে হিসেবে সকালে সাত টায় ঢাকা থেকে গেলে রাত ১১ টার আগেই আবার ঢাকায় থাকবেন।
খরচাপাতি
এই ট্যুরটা তে খরচ হবে টোটাল ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা এর মত। চাইলে এর থেকে কমেও ট্যুর দিয়ে আসতে পারবেন। চাদপুর শহরের মধ্যে অটো ভাড়া ৫ থেকে ১০ টাকার মত। উঠার আগে ভাড়া ঠিক করে নিন। একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মার্চ মাসের ১ তারিখ থেকে এপ্রিল এর ৩০ তারিখ পর্যন্ত ইলিশ ধরা বন্ধ। এই সময়ে গেলে হয়ত সেভাবে ইলিশ খাওয়া নাও হতে পারে।দালাল বাজার জমিদার বাড়ি সিএনজি নিয়ে যেতে খরচ হবে ১৩০ টাকা। এছাড়া বাসেও যাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে খরচ হবে ৪০ টাকার মত।

খাবারদাবার
যদি সকালেই জমিদার বাড়ি দেখতে যান তাহলে সকালের নাস্তা রায়পুরে করতে পারেন মোহাম্মাদীয়া হোটেল এ। খুব ভাল মানের সুস্বাদু খাবার কম দামে পাবেন। যারা মিষ্টি পাগল তারা হয়ত ঘণ্টা খানেক খেতেই থাকবেন গরম মিষ্টি। আসার আগে অটো ভাড়া নিয়ে চলে যান বাজারের দিকে খুজুন “ওয়ান মিনিট” মিষ্টির দোকান। ৪০ টাকায় একটি আইসক্রিম অবস্যই খেয়ে আসবেন। না হলে ট্যুর অপূর্ণ থেকে যাবে।
মেঘনায় নৌকা ভ্রমন
এই ট্যুরে আপনি নৌ বিহারের মজা পাবেন। সময়মত গেলে পাবেন তাজা ইলিশ ভাজা খেতে। পারবেন মেঘনা নদীর মোহনা তে নৌকা নিয়ে ঘুরতে। প্রমত্ত মেঘনা নদীর বুকে জেগে উঠা চরে ঘুরতে পারবেন মাত্র ৫০ টাকা প্রতিজন। চাঁদপুরের আসে পাশে ঘোরার জন্য আছে কয়েকটি জমিদার বাড়ি, তার মধ্য দালাল বাজার জমিদার বাড়ি, রূপসা জমিদার বাড়ি অন্যতম, সময় নিয়ে গেলে রায়পুর ফিসারিজ সেন্টার, লোহাগড় মঠ ঘুরে আস আসতে পারেন। সারাদিন ঘুরে বিকেলবেলা টা কাটাবেন মুলহেডে মেঘনা নদীর মোহনা তে। এই জায়গা টি বড় স্টেশন বাজার নামেও পরিচিত। এখানে মেঘনার বুকে সূর্যাস্ত দেখতে দেখতে একটা মায়াবি আবহে জড়িয়ে পরবেন।
পরিবেশ সচেতনতা
যেখানে যান পরিবেশ সংরক্ষনের ব্যাপারে খেয়াল রাখুন। আপনার ব্যাবহার করা চিপ্সের প্যাকেট, পানির বোতল নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলুন। আমাদের একটু সচেতনতা বদলে দিতে পারে এই দেশ।

No comments:

Post a Comment