Thursday 9 November 2017

কাপ্তাই লেকে

কাপ্তাই লেকে একদিন - বাংলাদেশের মানচিত্রের বৃহত্তম জেলা হিসেবে সমাদৃত রাঙামাটি। পর্যটকদের জন্য রাঙামাটি শুধু অলস সৌন্দর্যের আঁধার ই নয় বরং অনন্তযৌবনা যা কখনো বার্ধক্যে ক্ষয়ে যাবে না। দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম কৃত্রিম লেকের উপস্থিতি (কাপ্তাই লেক) রাঙামাটি কে পর্যটকদের কাছে পূর্ণতা প্রদান করেছে। রাঙামাটির পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে নয়নাভিরাম সৌন্দর্য, কোথাও সবুজের চাদরে জড়ানো প্রকৃতি স্বর্গীয় রূপে ধরা দিবে আবার কোথাও পাহাড়ের চূড়া কে ছুঁয়ে দিগন্ত রেখায় মিলিয়ে যাবে দুরন্ত মেঘমালা। 

নি:সন্দেহে রাঙামাটির সবচেয়ে বড় আকর্ষণ- ঝুলন্ত সেতু যা "Symbol of Rangamati" নামেই সর্বাধিক সমাদৃত। প্রায় 335 ফুটের মতো দৈর্ঘ্যের এ ঝুলন্ত সেতু দুইটি বিচ্ছিন্ন পাহাড় কে এক সুতোয় মিলিয়ে দিয়েছে। শেষ বিকেলের আলোয় ঝুলন্ত সেতু থেকে কাপ্তাই লেকের মায়াবী রূপে আপনি অভিভূত হবেন ই, জোর দিয়ে ই এটা বলা যায়।
পাশাপাশি, শুভলং ঝর্ণা রাঙামাটি র আরেকটি বিজ্ঞাপন। আর, এদেশের অন্যান্য ঝর্ণা র মতো শুভলং এর ও ভরা যৌবন কিন্তু ভরা বর্ষাতেই পাবেন। অন্যাথা হতাশ হবেন।
এর বাইরে, চাকমা রাজার প্রাসাদ, রাজবন বিহার, পেদা টিং টিং মোটামুটি উল্লেখযোগ্য। এ পর্যন্ত দু'বার রাঙামাটি যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। প্রথমবার, সরকারি গেস্ট হাউসে আর পরের বার হোটেল নাদিসা ইন্টারন্যাশনাল এ ছিলাম। রিজার্ভ বাজারে, কাপ্তাই লেকের খুব কাছেই এ হোটেলটি তে আমাদের খুব ভালো সময় কেটেছিল। এতটাই ভালো লেগেছিল যে, বর্ষার মধ্যে একটা দিন শুধু হোটেলের রুমে ই ঘুমিয়ে কাটিয়েছিলাম। আর সারাদিনের জন্য নৌকা ভাড়া পড়েছিল বারোশো টাকার মতো।
# অবশ্যই প্রকৃতির প্রতি দায়িত্বপূর্ণ আচরণ করবেন। আমার, আপনার দায়িত্বপূর্ণ আচরণের ই পারে আমাদের প্রকৃতি কে পরিচ্ছন্ন রাখতে। (ঢাকা- রাঙামাটি- কাপ্তাই লেক)।