Thursday 4 January 2018

অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি মনপুরা দ্বীপ ভোলা

অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি আমাদের এই বাংলাদেশ, আসলে বাসা থেকে না বেরুলে আপনি বুঝতেও পারবেন না.. অনেক দিন কোথাও যাওয়া হচ্ছে না তাছাড়া মন টা ও ভাল ছিল না, তাই হুট করে ২ বন্ধুকে নিয়ে বেরিয়ে পরলাম মনপুরার উদ্দেশ্যে..
অাপনার গন্তব্য মনপুরা দ্বীপ.. ঢাকা থেকে সদরঘাট হতে বিকাল ৫.৩০ মিনিটে (এম ভি ফারহান) একটা লঞ্চ আর ৬.০০ মিনিটে (তাসরিফ) আরেকটা লঞ্চ মনপুরা, হাতিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়..

ঐই খানে আপনার যাওয়ার জন্য আপনি কিছু শুখনো খাবার আর পানি নিয়ে লঞ্চে উঠে পরুন.. কারন লঞ্চে বাহিরের তুলোনায় দামটা একটু বেশি. আর চাইলে কেবিনও নিতে পারেন.. ভালো কথা অাপনি কেবিন না নিলে একটা কাপর টাইপের কিছু নিয়ে যেতে হবে বসার জন্য তাছাড়া অনেকজন গেলে কেবিন না নেওয়াটাই ভাল.. পারলে একটা গিটার নিয়ে যাবেন আর ভারী পোশাক পরে যাবেন লঞ্চ এ অনেক বাতাস ঠান্ডা লাগতে পারে.. আপনাকে ভোর ৫ টায় গিয়ে মনপুরা তে পৌছিয়ে দেবে...
তাছাড়া অইখানে গেলে জোড় সংখ্যা যাওয়া প্রয়োজন.. কারন অইখান থেকে দ্বীপ ঘুরার জন্য আপনাকে মটর সাইকেল ভাড়া করতে হবে.. তাই প্রতি মটর সাইকেল ৫০০ করে ২ জন না হলে আপনাদের খরচটাও বেড়ে যাবে.. আমরা তিন জন গিয়ে অনেক ভুল হয়ে গিয়েছে..
তাছাড়া লঞ্চ থেকে নামার পর দেখবেন কিছু দোকান পাশে কিছু মানুষ.. ঠিক ওই সময় কিছু লোক আপনাদের কে এসে জিজ্ঞাস করবে আপনারা কোথায় যাবেন.. আপনারা আমাদের মত এমন ভুল করবেন না. আমরা ঐই সময় মটর সাইকেল সারা দিনের জন্য ভাড়া না করে হাজির হাট এর উদ্দেশ্যে যাই সেই জন্য আমাদের আলাদা ভাবে ভাড়া দিতে হয়.. তাই আপনারা ঐই সময়ই ভাড়া করে ফেলবেন মটর সাইকেল.. আর আপনাকে থাকা খাওয়ার জন্য হাজির হাট বাজারে যেতে হবে.. ঐই খানে যাওয়ার পর কোনো ধরনের হোটেল বাড়া করতে পারবেন.. বা ডাক বাংলো রয়েছে বাড়া করে থাকতে পারেন রুম প্রতি ৫০০ নিবে ৪-৬ জন চোখ বন্ধ করে থাকতে পারবেন...

মনপুরা তে কিন্তু বিদ্যুৎ সংযোগ সন্ধ্যা ৬ টা হতে রাত ১২ টা পর্যন্ত থাকে সেই জন্য পাওয়ার ব্যাংক নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন..
আসলে সত্যি বলতে দেখার মতো একটি যায়গা.. অার ওনারাই অাপনাদের দর্শনীস্থাহ গুলো দেখাবে.. একদিনে সব ঘুরতে পারবেন.. তাছাড়া একটা কথা শুনে গিয়েছি যাওয়ার সময় কিন্তু সেটা আর তেমন দেখা হলো কই... মনপুরায় অনেক হরিন ছিল আমরাও খবর নিয়ে গিয়েছি কিন্তু দুঃখের বিষয় অনেক গুড়িগুড়ি করে একটা হরিনের বাচ্ছা ছাড়া আর কিছুই দেখা মিললোনা..ঐই এলাকার মানুষ অনেক ভাল কিন্তু এই জিনিষ টা যেন সকল ভাল লাগাকে বিষে পরিনত করলো বন্য প্রানী হত্যা করে খাওয়া..
যে ২ টা মটর সাইকেল ঠিক করা হয়েছিল তাদের একজন বলতেছে কিছু দিন আগে আসলে আপনাদের কে হরিনের মাংস খাওয়াতাম.. উনি নাকি জেলেও গেছে এই মাংস খাওয়ার জন্য.. তিনি মনে হয় বুঝতে ভুল করেছে.. আমরা হরিন খাইতে নয় কাছ থেকে দেখতে গিয়েছিলাম.. আমাদের দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ গুলোকে আমরাই শেষ করছি.. এটা খুবই খারাপ লাগছে তাছাঁড়া ঐখানে এখন হরিনের দেখা মিলেনা বললেও চলে..

তারপর দুপুরে খাওয়ার সময় হাজির হাট বাজারে যেকোনো খাবার হোটেল এ বসতে পরেন.. দেখবেন অনেক ধরনের মাছের রয়েছে আছে আমরা ইলিশ মাছ খেয়েছিলাম.. এমন স্বাদ পাই নি ইলিশের এতো টাই ভালো মনে হয় অমৃত.. আপনাদের পছন্দ মত মাছ খেতে পারেন.. তবে অামি বলবো ইলিশ টা একটু ট্রাই করবেন.. তাছাড়া দাম ও কম প্রতি পিছ মাছ ৬০-৭০ টাকা.. আমরা ৫ জন খাওয়ার পর ৩৭০ টাকা বিল আসছিলো..

ইচ্ছা করলে রাতটা থেকে পরদিন ফিরতে পারেন.. কিন্তু আমরা দুপুরে খাওয়ার পর ঢাকাতে ব্যাক করি.. তাছাড়া আসার সময় দুপুর ২.৩০ এ ফারহান (লঞ্চ) আর ৩.০০ টায় তাসরিফ (লঞ্চ) মনপুরা হতে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছাড়ে।
যত বিকাল হয় মনপুরার চিত্র যেন ততই পালটে যায়.. অনেক প্রত্নতাত্ত্বিক একটা দ্বীপ.. তাছাড়া ঐখানের মানুষ গুলো খুব আন্তরিক..
অনেক সুন্দর একটা যায়গা.. ঘুরার জন্য অনেক ভাল একটা যায়গা...
আপনি চাইলে মোট (১৫০০) মধ্যে এই দ্বীপটি তে ঘুড়ে আসতে পারেন.. অইখানে গেলে বুঝা যায় না প্রকৃতিকে কাছ থেকে দেখার যে কি স্বাদ...

বিঃদ্রিঃ অাপনার খাওয়া চিপস ও চকলেটের কাগজ পানির ঠোস এগুলো যেখানে সেখাখে না ফেলে উপযুক্ত যায়গায় ফেলুন.. পরিবেশ রক্ষায় এগিয়ে অাসুন...

No comments:

Post a Comment