এই বর্ষায় ৪ দিন সময় নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন #মেঘালয়।
ভিসা, ট্রাভেল ট্যাক্স বাদ দিয়ে নিম্নবর্ণিত হিসাব অনুযায়ী ট্যাক্সি ও হোটেল ভাড়া মাঝামাঝি ধরলে খাবার, এন্ট্রি ফি ও পার্কিং ফি সহ ৪ জনের মোট খরচ হয় ১৭,৫০০ রুপি বা জনপ্রতি -৪,৩৭৫ রুপি (তামাবিল - মেঘালয়ে ৪ দিন - তামাবিল)।
মেঘ, পাহাড়, ঝর্ণা, জলপ্রপাতের দেশ মেঘালয়। বর্ষায় এখানে উঁচু উঁচু সবুজ পাহাড়ের মাথাগুলো প্রায় সবসময়ই শুভ্র মেঘে ঢাকা থাকে। সেই সব পাহাড় থেকেই ঝরে পড়ছে অজস্র ঝর্ণা। দূর থেকে দেখলে মনে হয় গাঢ় সবুজ পাহাড়ের গায়ে কেউ যেন অজস্র সাদা রেখা এঁকে দিয়েছে। এই ঝর্ণাগুলোর জল থেকেই সৃষ্টি হয়েছে অনেকগুলো স্বচ্ছ জলের পাথুরে নদী বা খাল। যেগুলো বিশালাকার পাথরের বোল্ডারের মাঝ দিয়ে বয়ে চলতে চলতে গেয়ে চলেছে অপূর্ব সংগীত। একবার এই সংগীত ঠিকঠাকভাবে শোনা শুরু করলে মনে হয় আজীবন এখানেই রয়ে যাই। এইসব নদী বা খালের আকস্মিক পতনের ফলে সৃষ্টি হয়েছে সেভেন সিস্টার্স ফলস্ বা নোহকালিকাই ফলস্এর মতো বিরাট আকারের জলপ্রপাতগুলো। যেগুলোর জল পতনের গর্জনে বুকে কাঁপন ধরায়। এর আশেপাশেই ছড়িয়ে আছে প্রাকৃতিক গুহা, হ্রদ, জঙ্গল। মেঘালয়ের রাস্তা দিয়ে চলতে চলতে উপভোগ করা যায় মেঘের খেলা। মেঘ কখনো মাথার একটু উপর দিয়ে যাচ্ছে, কখনো ভিজিয়ে দিয়ে সাথে সাথে যাচ্ছে, কখনো রাস্তার একটু নিচ দিয়ে যাচ্ছে, আবার কখনো কয়েক পাহাড়ের মাঝের উপত্যকায় থেমে আছে। বর্ষায় মেঘালয় যেন তার সব সৌন্দর্য উজাড় করে দেয়।
মূলত ৪ জনের জন্য এই প্ল্যান।
.
.
♦♦১ম দিন : বাংলাদেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে বাস বা ট্রেনে সিলেটের কদমতলী বাস স্ট্যান্ড পৌছতে হবে ভোরে। কদমতলী বাস স্ট্যান্ড থেকে জাফলং / তামাবিলগামী বাসে তামাবিল জিরো পয়েন্ট। লোকাল বাস ভাড়া - ৬০ টাকা। তামাবিল জিরো পয়েন্ট থেকে ২-৩ মিনিট হেটে তামাবিল কাস্টমস, ইমিগ্রেশন।
তামাবিল কাস্টমস ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করে ইন্ডিয়া প্রবেশ করে সে অংশের ডাউকি কাস্টমস, ইমিগ্রেশন। এখানের কাজ শেষ করে বেরলেই অনেক ট্যাক্সি চালক আপনাদের গন্তব্যস্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য ঘিরে ধরবে। ডাউকি ইমিগ্রেশনের সামনের ট্যাক্সিগুলো ভাড়া বেশি চায়। চাইলে এখান থেকেও ট্যাক্সি নিতে পারেন। ভাড়া একটু কমাতে চাইলে ১০-১৫ মিনিট হেটে সোজা রাস্তা দিয়ে চলে যান ডাউকি বাজার। ডাউকি বাজারে নাস্তা করে নিন।
এই প্ল্যান অনুযায়ী যেতে পারলে সকাল ১০-১১ টার মধ্যে ডাউকি বাজারে থাকবেন। ডাউকি বাজারে নাস্তা হিসেবে ২ পিস পরোটা + ১ বাটি চানা (বুটের ডাল) ৩০ রুপি নিবে। নাস্তা খেয়ে ট্যাক্সি বা মারুতি জীপগাড়ি রিজার্ভ করে ফেলুন। মারুতি জীপে সামনে ১ জন আর পেছনে ৩ জন বসা যায়।
ডাউকি বাজার থেকে ->
#উমক্রেম_ফলস্ ( রাস্তার পাশে) ->
#বপহিল_ফলস্ বা #বড়হিল_ফলস্ (রাস্তার পাশে, এদেশে পান্থুমাই ঝর্ণা নামে পরিচিত) ->
#নহওয়েত_লিভিং_রুট_ব্রিজ (রাস্তা থেকে একটু ভেতরে, ১০/২০ রুপি টিকেট) ->
#মাওলিনং_ভিলেজ (এশিয়ার সবথেকে পরিষ্কার গ্রাম, ২০/৩০ রুপি টিকেট) ->
#ক্রাংসুরি_ফলস্ আমলারেম (মাওলিনং ভিলেজ থেকে প্রায় ৩ ঘন্টার পথ, টিকেট ১০ রুপি,এখানে দুপুরের খাবার খাবেন) ->
#শ্নোনেংপেডেং_ভিলেজ এই পুরো পথটুকুর জন্য ট্যাক্সি রিজার্ভ করুন। ভাড়া পড়বে ১৫০০-২০০০ রুপির মধ্যে। ট্যাক্সি ভাড়া দামাদামির দক্ষতার ভিত্তিতে কম বেশি হতে পারে।
#উমক্রেম_ফলস্ ( রাস্তার পাশে) ->
#বপহিল_ফলস্ বা #বড়হিল_ফলস্ (রাস্তার পাশে, এদেশে পান্থুমাই ঝর্ণা নামে পরিচিত) ->
#নহওয়েত_লিভিং_রুট_ব্রিজ (রাস্তা থেকে একটু ভেতরে, ১০/২০ রুপি টিকেট) ->
#মাওলিনং_ভিলেজ (এশিয়ার সবথেকে পরিষ্কার গ্রাম, ২০/৩০ রুপি টিকেট) ->
#ক্রাংসুরি_ফলস্ আমলারেম (মাওলিনং ভিলেজ থেকে প্রায় ৩ ঘন্টার পথ, টিকেট ১০ রুপি,এখানে দুপুরের খাবার খাবেন) ->
#শ্নোনেংপেডেং_ভিলেজ এই পুরো পথটুকুর জন্য ট্যাক্সি রিজার্ভ করুন। ভাড়া পড়বে ১৫০০-২০০০ রুপির মধ্যে। ট্যাক্সি ভাড়া দামাদামির দক্ষতার ভিত্তিতে কম বেশি হতে পারে।
অনেক রাত পর্যন্ত এই পাহাড়ি নদীর পাথরগুলোতে বসে জল-পাথরের অপূর্ব সংগীত শুনতে পারেন। রাতে শ্নোনেংপেডেং এ কটেজে থাকা। ব্রাইট স্টার কটেজে ৪ জনের জন্য ২ বেডের এক রুম ভাড়া ১২০০-১৬০০ রুপি। চাইলে তাবুতেও থাকতে পারেন। ৪ জনের এক তাবুতে ম্যাটস, বালিশ, কম্বলসহ ৭০০ রুপি।
দুপুরের খাবার খাবেন ক্রাংসুরি ফলস, আমলারেম এ। ভাত + সবজি + চিকেন নিবে ১০০-১২০ রুপি। রাতের খাবার শ্নোনেংপেডেং কটেজে। ভাত + সবজি + চিকেন/মাছ ১০০-১২০ রুপি।
.
.
♦♦২য় দিন : ভোরে ঘুম থেকে উঠে #উমংগট_নদীতে ঘুরাঘুরি করে কাছাকাছি ২ টি ঝুলন্ত ব্রিজে উঠে দেখে কটেজে ফিরে এসে সকালের নাস্তা খেতে পারেন। খুব স্বচ্ছ এই নদীর জল। পানিতে নৌকা চললে মনে হয় নৌকা হাওয়া ভাসছে। আর ব্রিজের উপর থেকে অনেকদূর পর্যন্ত নদীটি দেখা যায়। এই ব্রিজের নিচেই ২ টি নদী এসে মিলিত হয়ে এক ধারায় প্রবাহিত হয়েছে, এই মিলনস্থলটিও খুব সুন্দর।
২ পিস রুটি + চানা + চা এর জন্য ৩০ রুপি নিবে। নাস্তা করে আবার বেরিয়ে পড়ুন। কটেজের নিচেই ঘাট থেকে ২০০ রুপি দিয়ে নৌকা রিজার্ভ করে ঘুরে আসুন নদীর উজান থেকে। সুউচ্চ সব সবুজ পাহাড়ের মাঝ দিয়ে স্বচ্ছ পানিতে ভেসে বেড়ান ২-৩ ঘন্টা। কায়াকিং, স্নোরকেলিংও করতে পারেন।
দুপুরের খাবার খাবেন ক্রাংসুরি ফলস, আমলারেম এ। ভাত + সবজি + চিকেন নিবে ১০০-১২০ রুপি। রাতের খাবার শ্নোনেংপেডেং কটেজে। ভাত + সবজি + চিকেন/মাছ ১০০-১২০ রুপি।
.
.
♦♦২য় দিন : ভোরে ঘুম থেকে উঠে #উমংগট_নদীতে ঘুরাঘুরি করে কাছাকাছি ২ টি ঝুলন্ত ব্রিজে উঠে দেখে কটেজে ফিরে এসে সকালের নাস্তা খেতে পারেন। খুব স্বচ্ছ এই নদীর জল। পানিতে নৌকা চললে মনে হয় নৌকা হাওয়া ভাসছে। আর ব্রিজের উপর থেকে অনেকদূর পর্যন্ত নদীটি দেখা যায়। এই ব্রিজের নিচেই ২ টি নদী এসে মিলিত হয়ে এক ধারায় প্রবাহিত হয়েছে, এই মিলনস্থলটিও খুব সুন্দর।
২ পিস রুটি + চানা + চা এর জন্য ৩০ রুপি নিবে। নাস্তা করে আবার বেরিয়ে পড়ুন। কটেজের নিচেই ঘাট থেকে ২০০ রুপি দিয়ে নৌকা রিজার্ভ করে ঘুরে আসুন নদীর উজান থেকে। সুউচ্চ সব সবুজ পাহাড়ের মাঝ দিয়ে স্বচ্ছ পানিতে ভেসে বেড়ান ২-৩ ঘন্টা। কায়াকিং, স্নোরকেলিংও করতে পারেন।
এখানেই দুপুরের খাবার সেরে নিন। ভাত + সবজি + নদীর মাছ ১০০ রুপি নিবে। দুপুরের খাবার খেয়ে আবার ট্যাক্সি রিজার্ভ করুন শ্নোনেংপেডেং থেকে চেরাপুঞ্জি (অন্য নাম সোহরা) পর্যন্ত। আগের দিনের ট্যাক্সিচালককে বললে সে এসে নিয়ে যাবে অথবা কটেজের মালিককেও বলে রাখতে পারেন। ভাড়া ১৫০০- ২০০০ রুপি। সময় লাগবে ৩ ঘন্টার মত।
সন্ধ্যার দিকে চেরাপুঞ্জি পৌছে হোটেল ঠিক করে নিন। ২ বেডের এক রুম ভাড়া পড়বে ২০০০-২৫০০ রুপি। সোহরা পুলিশক্যাম্প বা থানার কাছাকাছি কর সংরিয়া, মাস্টার পলের Gemia Hotel, 7 step এ থাকতে পারেন। #চেরাপুঞ্জি পৌছে হোটেল ঠিক করে বাজারে ঘুরাঘুরি করে অবশ্যই সন্ধ্যা ৭ টার মধ্যেই বাজারের কোনো হোটেল থেকে খেয়ে নিন। সন্ধ্যা ৭ টার পর অধিকাংশ হোটেল বন্ধ করে দেয়। রাতের খাবার ভাত + সবজি + চিকেন ১০০ - ১২০ রুপি নিবে। পরেরদিনের জন্য ট্যাক্সি ঠিক করে হোটেলে ফিরে আসুন।
.
.
♦♦৩য় দিন : সকাল সকাল ট্যাক্সি ঠিক করে বেরিয়ে পড়ুন। হোটেল ম্যনেজারের রুমে ব্যাকপ্যাক রেখে শুধু ১ রাতের ভাড়া মিটিয়ে দিন। চেরাপুঞ্জি বৃষ্টিপ্রবণ এলাকা তাই সকালে বৃষ্টি থাকলেও বেরিয়ে পড়ুন। হয়ত ৩-৪ কি.মি. দূরেও বৃষ্টি হচ্ছে না। আবার সারাদিন ধরেও বৃষ্টি হতে পারে। বাজার থেকে নাস্তা সেরে ফেলুন ৩০ রুপি দিয়ে।
.
.
♦♦৩য় দিন : সকাল সকাল ট্যাক্সি ঠিক করে বেরিয়ে পড়ুন। হোটেল ম্যনেজারের রুমে ব্যাকপ্যাক রেখে শুধু ১ রাতের ভাড়া মিটিয়ে দিন। চেরাপুঞ্জি বৃষ্টিপ্রবণ এলাকা তাই সকালে বৃষ্টি থাকলেও বেরিয়ে পড়ুন। হয়ত ৩-৪ কি.মি. দূরেও বৃষ্টি হচ্ছে না। আবার সারাদিন ধরেও বৃষ্টি হতে পারে। বাজার থেকে নাস্তা সেরে ফেলুন ৩০ রুপি দিয়ে।
চেরাপুঞ্জি থেকে ->
#থাংকারাং_পার্ক ( টিকেট -১০ রুপি, ট্যাক্সি পার্কিং - ৪০ রুপি) ->
#মাওসমাই_কেভ (টিকেট -২০ রুপি, পার্কিং -৪০ রুপি) ->
#মাওসমাই_ইকো_পার্ক (সেভেন সিস্টার্স ফলস্ টপ, টিকেট -১০ রুপি, পার্কিং- ২০ রুপি) ->
#সেভেন_সিস্টার্স_ফলস্_ভিউ_পয়েন্ট (টিকেট -১০ রুপি, পার্কিং -২০ রুপি) ->
#নোহকালিকাই_ফলস্ (টিকেট -১০ রুপি, পার্কিং - ২০ রুপি) ->
#লাইপাতেং_ফলস্ (টিকেট - ১০ রুপি, পার্কিং - ২০ রুপি) -> চেরাপুঞ্জি হোটেল এই পুরো পথের ট্যাক্সি রিজার্ভের ভাড়া পরবে ১২০০-১৫০০ রুপি।
পথেই কোনো হোটেল থেকে ১২০ রুপিতে দুপুরের খাবার পেয়ে যাবেন।
#থাংকারাং_পার্ক ( টিকেট -১০ রুপি, ট্যাক্সি পার্কিং - ৪০ রুপি) ->
#মাওসমাই_কেভ (টিকেট -২০ রুপি, পার্কিং -৪০ রুপি) ->
#মাওসমাই_ইকো_পার্ক (সেভেন সিস্টার্স ফলস্ টপ, টিকেট -১০ রুপি, পার্কিং- ২০ রুপি) ->
#সেভেন_সিস্টার্স_ফলস্_ভিউ_পয়েন্ট (টিকেট -১০ রুপি, পার্কিং -২০ রুপি) ->
#নোহকালিকাই_ফলস্ (টিকেট -১০ রুপি, পার্কিং - ২০ রুপি) ->
#লাইপাতেং_ফলস্ (টিকেট - ১০ রুপি, পার্কিং - ২০ রুপি) -> চেরাপুঞ্জি হোটেল এই পুরো পথের ট্যাক্সি রিজার্ভের ভাড়া পরবে ১২০০-১৫০০ রুপি।
পথেই কোনো হোটেল থেকে ১২০ রুপিতে দুপুরের খাবার পেয়ে যাবেন।
এইসব জায়গা ঘুরে সন্ধ্যায় হোটেল থেকে ব্যাকপ্যাক নিয়ে মেঘালয়ের রাজধানী শিলং এর উদ্দেশ্য বেরিয়ে পড়ুন। চেরাপুঞ্জি থেকে শিলং ট্যাক্সি রিজার্ভ ১৫০০-২০০০ রুপি। সময় লাগবে আড়াই ঘন্টার মতো।
#শিলং পৌছে হোটেল ঠিক করে নিন। পুলিশ বাজারের দিকে ২ বেডের এক রুম ভাড়া পড়বে ২০০০-৩০০০ রুপি। আর একটু ভিতরে মফরান এর দিকে Godwin Hotel এ ভাড়া পড়বে ১০০০-১৫০০ রুপি। হোটেল ঠিক করে শপিং এর উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ুন। পুলিশ বাজারের আশেপাশেই শপিং করে রাতের খাবার খেয়ে হোটেলে ফিরে আসুন। রাতের খাবার ভাত + ডাল + সবজি + বিফ/চিকেন ১৫০ রুপি পড়বে।
.
.
♦♦৪র্থ দিন : সকালে উঠে নাস্তা লুচি + চানা + ডিম ভাজা ৪০ রুপি।
.
.
♦♦৪র্থ দিন : সকালে উঠে নাস্তা লুচি + চানা + ডিম ভাজা ৪০ রুপি।
শিলং এর পুলিশ বাজার থেকে ->
#উমিয়াম_লেক (বারাপানি লেক নামেও পরিচিত, টিকেট-৫০ রুপি, পার্কিং-২০০ রুপি) ->
#এলিফেন্ট_ফলস্ ( টিকেট -৫০ রুপি, পার্কিং-২০০ রুপি) -> হোটেল এই পথটুকুর জন্য ট্যাক্সি রিজার্ভ নিবে ৫০০ রুপির মত।
#উমিয়াম_লেক (বারাপানি লেক নামেও পরিচিত, টিকেট-৫০ রুপি, পার্কিং-২০০ রুপি) ->
#এলিফেন্ট_ফলস্ ( টিকেট -৫০ রুপি, পার্কিং-২০০ রুপি) -> হোটেল এই পথটুকুর জন্য ট্যাক্সি রিজার্ভ নিবে ৫০০ রুপির মত।
ফিরে ১২০ রুপি দিয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে ডাউকির উদ্দেশ্যে ট্যাক্সি রিজার্ভ নিয়ে রওনা দিন। ভাড়া ১৫০০-২০০০ রুপি। মনে রাখবেন শিলং থেকে অবশ্য অবশ্যই দুপুর ১২ টার মধ্যে ডাউকির উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। কেননা বিকাল ৫ টার ভেতর ডাউকি ইমিগ্রেশন বন্ধ হয়ে যায়।
ডাউকি এসে ইন্ডিয়ার ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করে বাংলাদেশে প্রবশ করে এখানকার ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করে যাওয়ার সময় বাস থেকে যেখানে নেমেছিলেন সেখান থেকে সিলেটগামী বাসে উঠে পড়ুন। ভাড়া - ৬০ টাকা। সিলেট পৌছে রাতের খাবার খেয়ে নিয়ে ঢাকার বা যে অঞ্চল থেকে এসেছেন সেখানকার বাসে উঠে নিজ নিজ গন্তব্যে পৌছে যান।
♦ডাউকি বর্ডার দিয়ে ভিসা থাকতে হবে।
♦আগে থেকেই ট্রাভেল ট্যাক্স রসিদ সাথে রাখুন। কারণ তামাবিলে নাও পেতে পারেন।
♦মেঘালয়ের শিলংএর পুলিশ বাজারের মানি এক্সচেঞ্জগুলোতে টাকার মূল্য অন্যান্য বর্ডার এরিয়া থেকে কম। ডাউকিতে টাকা বা ডলার ভাঙ্গানোর জন্য কাউকে খুঁজে পাইনি।
♦ অবশ্যই ছাতা বা রেইনকোর্ট সাথে রাখবেন।
♦ প্রতিটি স্পটেই মানুষের টিকেটের পাশাপাশি ডিএসএলআর ক্যামেরার জন্য ২০-৪০ রুপির টিকেট করতে হয়।
♦সময় থাকলে মেঘালয়ের আরো বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখতে পারেন। এখানে দেখার মত জায়গা অনেক আছে।
♦ঐ অঞ্চলের অধিবাসীদের সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকুন।
♦ ২০১৭ সালের ভ্রমণ অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে লেখা।
♦আগে থেকেই ট্রাভেল ট্যাক্স রসিদ সাথে রাখুন। কারণ তামাবিলে নাও পেতে পারেন।
♦মেঘালয়ের শিলংএর পুলিশ বাজারের মানি এক্সচেঞ্জগুলোতে টাকার মূল্য অন্যান্য বর্ডার এরিয়া থেকে কম। ডাউকিতে টাকা বা ডলার ভাঙ্গানোর জন্য কাউকে খুঁজে পাইনি।
♦ অবশ্যই ছাতা বা রেইনকোর্ট সাথে রাখবেন।
♦ প্রতিটি স্পটেই মানুষের টিকেটের পাশাপাশি ডিএসএলআর ক্যামেরার জন্য ২০-৪০ রুপির টিকেট করতে হয়।
♦সময় থাকলে মেঘালয়ের আরো বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখতে পারেন। এখানে দেখার মত জায়গা অনেক আছে।
♦ঐ অঞ্চলের অধিবাসীদের সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকুন।
♦ ২০১৭ সালের ভ্রমণ অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে লেখা।
দেশের ভেতর বা বাইরে যেখানেই যান না কেন যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলবেন না। এমনকি থু থু ও না। দয়া করে দেশের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয় এমন কোনো আচরণ বা কাজ বিদেশের মাটিতে করবেন না।